লবন চাষীদের ৪% সুদে ব্যাংক ঋণ ২০২২ – লবণ চাষের জন্য চাষিদের অনুকূলে ৪% রেয়াতি সুদ হারে ঋণ বিতরণের নির্দেশনা প্রদান করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ নির্দেশনার আওতায় লবন চাষ ত্বরান্বিত করতেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এতে করে চাষিগণ খুব সহজেই স্বল্প সুদে ঋণ পাবেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভাগের ২৮/০৭/২০২২ তারিখের এসিডি সার্কুলার নং-০৪ এর মাধ্যমে জারিকৃত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচি’র ৬.১৯.২ অনুচ্ছেদে উল্লিখিত রেয়াতি সুদহারে লবণ চাষিদেরকে ঋণ প্রদান’ শীর্ষক নির্দেশনার প্রতি আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।

এতদ্ব্যতীত, ০৮/০৯/২০১০ তারিখের এসিডি সার্কুলার নং-১৫ এবং ২৫/০১/২০১১ তারিখের এসিডি সার্কুলার লেটার নং-০১ এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় লবণ চাষের জন্য ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও বর্গাচাষিসহ প্রকৃত লবণ চাষিদেরকে রেয়াতি (৪%) হার সুদে ঋণ প্রদানের বিষয়ে নির্দেশনা ও নিয়মাচার জারি করা হয়েছিল। এক্ষণে, উল্লিখিত এসিডি সার্কুলার নং-১৫/২০১০ ও এসিডি সার্কুলার লেটার নং-০১/২০১১ এ বর্ণিত নির্দেশনা ও নিয়মাচার রহিতকরণ পূর্বক নিম্নরূপ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

এরিয়া এপ্রােচ ভিত্তিতে সমুদ্র উপকূলীয় যে সকল এলাকা লবণ চাষের উপযােগী, সে সকল এলাকায় লবণ চাষ মৌসুমে (সাধারণতঃ নভেম্বর মাস থেকে পরবর্তী বছরের মে মাস পর্যন্ত) লবণ চাষের জন্য উপরােক্ত রেয়াতি সুদ হার সুবিধা প্রযােজ্য হবে। প্রকৃত লবণ চাষিদের অনুকূলে লবণ চাষের জন্য একক/গ্রুপ ভিত্তিতে এতদ্‌সংযুক্ত ঋণ নিয়মাচার (পরিশিষ্ট-‘ক’) অনুযায়ী ঋণ বিতরণ করা যাবে। | যে সকল লবণ চাষির জমির মালিকানা রয়েছে তাদের মালিকানার সপক্ষে দাখিলকৃত দলিলপত্র এবং প্রাথমিক জামানত হিসেবে উৎপাদিতব্য লবণ হাইপােথিকেশন-এর বিপরীতে উপরােক্ত ঋণ সুবিধা প্রদান করা যাবে। বর্গাচাষিদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জমির মালিক/স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির প্রত্যয়নপত্র নিতে হবে।

মাত্র ১০ টাকা জমা দিয়ে ব্যাংক হিসাব খোলা যাবে / একর প্রতি দের লক্ষ টাকার মত ঋণ দেয়া হবে।

নভেম্বর মাস হতে পরবর্তী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের মে মাস পর্যন্ত এ ঋণ বিতরণ করা হবে।

লবন চাষীদের ৪% সুদে ব্যাংক ঋণ । লবণ চাষীদের স্বল্প সুদে ঋণ দিতে ব্যাংকগুলো নির্দেশনা প্রদান

ঋণ বিতরণের মাস হতে ১২ মাসের মধ্যে গৃহীত ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

যে সকল শর্তপূরণে বানিজ্যিক ব্যাংকগুলো লবন চাষ ঋণ বিতরণ করবে

  1. সেক্ষেত্রে ঋণ বিতরণের তারিখ হতে ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত স্বাভাবিক সুদ হার প্রযােজ্য হবে।
  2. ব্যাংকসমূহ রেয়াতি সুদে বিতরণকৃত ঋণ আদায়/সমন্বয়ের পর ঋণ হিসাবসমূহের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট অর্থবছর সমাপ্তির এক মাসের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট ৪% হারে সুদ ক্ষতিপূরণের আবেদন পেশ করবে।
  3. দাখিলকৃত দাবীসমূহের ন্যূনতম ১০% ঋণ নথি সরেজমিনে যাচাই এর ভিত্তিতে প্রাপ্য সুদ ক্ষতি পূরণের পরিমাণ নির্ধারণপূর্বক বাংলাদেশ ব্যাংক তার নিজস্ব হিসাব হতে ব্যাংকসমূহকে সুদ ক্ষতির অর্থ পরিশােধ করে অর্থ মন্ত্রণালয় হতে তা পুনর্ভরণের ব্যবস্থা করবে।
  4. কোনাে ঋণ হিসাবে ৪% সুদ হারের অতিরিক্ত সুদ আদায় করা হলে উক্ত ঋণ হিসাব সুদ ক্ষতি পুনর্ভরণের জন্য বিবেচিত হবে না।
  5. এতদ্ব্যতীত, এ বিভাগ কর্তৃক সময়ে সময়ে জারিকৃত কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালায় বর্ণিত অন্যান্য সাধারণ নির্দেশাবলী লবণ চাষে ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রেও প্রযােজ্য হবে।

ব্যাংক হিসাব খুলতে কত টাকা লাগবে?

ব্যাংক হিসাব খোলার প্রাথমিক জমার পরিমাণ- ১০ টাকা জমা গ্রহণপূর্বক খােলা একাউন্টধারী লবণচাষিদের সনাক্তকরণের ক্ষেত্রে উক্ত একাউন্ট/কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড ব্যতীত পৃথক কোনাে কাগজপত্রের প্রয়ােজন হবে না। বিতরণকৃত ঋণের নির্ধারিত মেয়াদ শেষে কোনাে ঋণ সম্পূর্ণ/আংশিক অনাদায়ী থাকলে তার ওপর রেয়াতি সুদ হার প্রযােজ্য হবে না।