সূচীপত্র
জমির দাম দিন দিন বেড়েই চলেছে-মূল্যস্ফিতির বাজারে স্বর্ণ এবং জমির দাম লাগামহীন হয়ে পড়েছে-টাকা মান কমার ফলে মানুষ জমির দিকেই ঝুঁকছে – মৌজা রেট ঢাকা ২০২৩
জমির সর্বনিম্ন রেট কত টাকার নিচে হবে না? স্থাপনা/বিল্ডিং/ফ্ল্যাট/এপার্টমেন্ট/ফ্লোর স্পেস এর সর্বনিম্ন বাজার মূল্য অর্থাৎ ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমির উপরিস্থ স্থাপনা, ইমারত, ফ্ল্যাট বা এপার্টমেন্ট হস্তান্তরের দলিল নিবন্ধনের ক্ষেত্রে হস্তান্তরকারী প্রদত্ত বা স্বনির্ধারণী মূল্য বাজার মূল্য হিসাবে গণ্য করিতে হইবে, তবে উক্ত মূল্য, প্রতি বর্গফুটের জন্য, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকার ক্ষেত্রে ১৫০০ (পনের শত) টাকা, এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকা ব্যতীত অন্যান্য শহরাঞ্চলের ক্ষেত্রে ১২০০ (বার শত) টাকা ও মফস্বল এলাকার ক্ষেত্রে ১০০০ (এক হাজার) টাকার কম হইবে না।
মৌজা রেট কি? মৌজা হার মানে সর্বনিম্ন মূল্য অর্থাৎ ‘মৌজা হার’ থেকে কম দাম দেখিয়ে কেউ জমি ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবে না। মৌজা রেট বা সরকারি মূল্য যার নিচে কোন জমি বা ফ্ল্যাটের মূল্য ধরা যাবে না। বর্তমানে এসিল্যান্ড অফিসগুলোকে প্রতিবছর জমি বা ফ্ল্যাটের মূল্য হালনাগাদ করার জন্য সরকারি নির্দেশনা দিয়েছে। এছাড়াও বাজার মূল্যে দলিল রেজিস্ট্রির নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
জমির মৌজা রেট কিভাবে নির্ধারিত হয়? এক বছরে একটি মৌজার মধ্যে ১০০ টি দলিল তৈরি করা হয়েছে এবং ১০০ টি দলিলে মোট হস্তান্তরিত সম্পত্তির মূল্য ছিল ১০০ কোটি টাকা আবার ১০০ টি দলিলে জমির পরিমাণ ছিল ১০,০০০ শতাংশ, সে ক্ষেত্রে ১০০ কোটি টাকাকে ১০,০০০ শতাংশ দিয়ে ভাগ করলে যা হবে তাই হচ্ছে শতাংশ প্রতি পরবর্তী বছরের জন্য ঐ মৌজার রেট। এটি ভূমি অফিস নির্ধারণ করবে মূল্য গড় মূল্যের উপর ভিত্তি করে সূচক দিয়ে ভাগ করে মৌজা রেট বের করা হয়।
গুলশান বনানী ও ধানমন্ডিতে জমি বা ফ্ল্যাটের দাম সবচেয়ে বেশি / ঢাকায় এক কাঠা জমির দাম কত?
জমির নকশা কি ভাবে পাবো? আপনার জমির মৌজা ম্যাপ বা নকশা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আপনার উপজেলাতে নিতে পারবেন অথবা সরাসরি সার্ভেয়ার রিমন খাঁন স্যারের ময়নামতি ল্যান্ড সার্ভে অফিস হতে নিতে পারবেন। ১ টি প্রিন্টেড নকশা তুলতে খরচ হবে ৭০০ টাকা এবং কুরিয়ার এ নিলে চার্জ ৫০ টাকা। অর্থাৎ ১ টি ম্যাপের সর্বমোট খরচ ৭৫০ টাকা। এখন অনলাইনে আবেদন করে ডাকযোগে জমির নকশা বাসায় বসে পাওয়া যায়।
Caption: www.dolil.gov.bd
ঢাকা জমির সর্বনিম্ন বাজার মূল্য তালিকা ২০২৩ । ঢাকায় কোথায় জমির সরকারি মূল্য কম?
- সাব-রেজিস্ট্রার এর কার্যালয়, নবাবগঞ্জ, ঢাকা জমির সরকারি মূল্য দেখুন
- সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়, উত্তরা, ঢাকা জমির সরকারি মূল্য দেখুন
- সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়, তেজগাঁও, ঢাকা জমির সরকারি মূল্য দেখুন
- সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়, সূত্রাপুর, ঢাকা জমির সরকারি মূল্য দেখুন
- সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়, শ্যামপুর, ঢাকা জমির সরকারি মূল্য দেখুন
- সাব-রেজিস্ট্রার এর কার্যালয়, সাভার, ঢাকা জমির সরকারি মূল্য দেখুন
- সদর সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়, সদর, ঢাকা জমির সরকারি মূল্য দেখুন
- সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়, পল্লবী, ঢাকা জমির সরকারি মূল্য দেখুন
- সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়, মোহাম্মাদপুর, ঢাকা জমির সরকারি মূল্য দেখুন
- সাব-রেজিস্ট্রার এর কার্যালয়, মিরপুর, ঢাকা জমির সরকারি মূল্য দেখুন
- সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়, খিলগাও, ঢাকা জমির সরকারি মূল্য দেখুন
- সাব-রেজিস্ট্রার এর কার্যালয়, কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ, ঢাকা জমির সরকারি মূল্য দেখুন
- সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা জমির সরকারি মূল্য দেখুন
- সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়, গুলশান, ঢাকা জমির সরকারি মূল্য দেখুন
- সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়, দোহার, ঢাকা জমির সরকারি মূল্য দেখুন
- সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়, ধানমন্ডি, ঢাকা জমির সরকারি মূল্য দেখুন
- সাব-রেজিস্ট্রার এর কার্যালয়, কালামপুর, ধামরাই, ঢাকা জমির সরকারি মূল্য দেখুন
- সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়, ডেমরা, ঢাকা জমির সরকারি মূল্য দেখুন
- সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়, বাড্ডা, ঢাকা জমির সরকারি মূল্য দেখুন
- সাব-রেজিস্ট্রার এর কার্যালয়, আশুলিয়া, ঢাকা জমির সরকারি মূল্য দেখুন
ঢাকায় জমির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ রেট কত?
জমির ক্রয় এখন বিলাশিতা ও বড়লোকদের ব্যাপার। অল্প টাকা বিনিয়োগে জমির ব্যবসা বা স্বল্প টাকা জমি পাওয়া যায় না। তাছাড়া ঢাকায় জমির উৎসে কর ৮% পর্যন্ত করা হয়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ২০ লক্ষ টাকা ধার্য করা হয়েছে। পণ স্বরূপ কোন অর্থ বা অন্য কোন কিছু গ্রহণ না করে কোন ব্যক্তি স্বেচ্ছায় গ্রহীতার সম্মতিক্রমে যে দলিলের মাধ্যমে কোন সম্পত্তি হস্তান্তর করেন, তাকে দানপত্র বলে। দানপত্রের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির দখল হস্তান্তর আবশ্যকীয় শর্ত এক্ষেত্রে দলিল খরচ খুবই কম। যা হোক আসল কথায় আসি, আপনি যদি গুলশানের মত লোকেশন জমি কিনতে চান তবে প্রতি কাঠা জায়গার মূল্য গড়ে ধরা হয়েছে ৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। বাণিজ্যিক এলাকায় সাব-রেজিস্ট্রারের সবশেষ ঘোষিত মূল্য অনুযায়ী মতিঝিলের জমি কাঠাপ্রতি ২ কোটি ৭৯ লাখ ৪৫ হাজার ৮৮৫ টাকা। গুলশানে প্লট কাঠাপ্রতি (বাড়ি) ২৮ লাখ ৯৬ হাজার ২৪৫ টাকা ও বনানীর কাঠাপ্রতি ৪৭ লাখ ৮৩ হাজার ৩৫০ টাকা এবং মহাখালীর কাঠাপ্রতি ৯৭ লাখ ৪৯ হাজার ১৯০ টাকা। একই সঙ্গে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে ৫৯ লাখ ৪৪ হাজার ৭৮৫ টাকা আর বাণিজ্যিক কাঠাপ্রতি ৮৫ লাখ ১৭ হাজার ৬৩০ টাকা। ঢাকার সাভার এরিয়াতে ৬ লক্ষ টাকা হতে শুরু করে ২০ লক্ষ টাকা শতাংশ মূল্যে জমি পেয়ে যাবেন।
https://www.youtube.com/watch?v=APciRL5tpP0