সূচীপত্র
বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডে (বিকেকেবি) দুটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান যুক্ত হলে, সেই প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মচারীরাও বিভিন্ন আর্থিক সুবিধা পেতে পারেন। যেমন, চিকিৎসার জন্য অনুদান, শিক্ষা অনুদান, সন্তানের জন্ম বা মৃত্যুর জন্য অনুদান ইত্যাদি– বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডে দুটি প্রতিষ্ঠান যুক্ত ২০২৫
বিকেকেবি স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান যুক্ত করে? হ্যাঁ। বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড (বিকেকেবি) সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের জন্য বিভিন্ন অনুদান প্রদান করে। সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা তাদের বা তাদের পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার জন্য অনুদান পেতে পারেন। কর্মচারীদের সন্তানদের শিক্ষার জন্য অনুদান দেওয়া হয়। সন্তানের জন্ম বা মৃত্যু হলে কর্মচারীদের জন্য অনুদান দেওয়া হয়। স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হলো এমন প্রতিষ্ঠান যা সরকারের নিয়ন্ত্রণ থেকে কিছুটা স্বাধীনতা লাভ করে এবং নিজস্ব নিয়ম-কানুন অনুযায়ী পরিচালিত হয়। স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান যুক্ত হলে তাদের কর্মচারীরাও বিকেকেবি-এর মাধ্যমে বিভিন্ন আর্থিক সুবিধা পাওয়ার সুযোগ লাভ করে। এই সুবিধাগুলো তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সাহায্য করে।
বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড কি স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান? হ্যাঁ। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কল্যাণে নিবেদিত প্রতিষ্ঠান- বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড (বিকেকেবি) বাংলাদেশ সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংবিধিবদ্ধ সংস্থা। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের কল্যাণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ এই সংস্থাটি ২০০৪ সালে বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড আইন, ২০০৪ এর মাধ্যমে গঠিত হয়। বোর্ডের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় অবস্থিত। ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড একটি সুসংগঠিত কাঠামোর মাধ্যমে পরিচালিত হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব পদাধিকারবলে এই বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বোর্ডের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একজন মহাপরিচালক রয়েছেন। বর্তমানে এই পদে আসীন আছেন কাজী এনামুল হাসান, এনডিসি (সচিব)। দেশব্যাপী বোর্ডের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে এর কার্যালয় রয়েছে, যেমন – ঢাকা ও চট্টগ্রাম।
আবেদন প্রক্রিয়া ও স্বচ্ছতা কি? বোর্ডের বিভিন্ন সেবা গ্রহণের জন্য নির্ধারিত আবেদনপত্র ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে আবেদন করতে হয়। বোর্ড তার কার্যক্রম পরিচালনায় স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সচেষ্ট। বিভিন্ন সেবার আবেদন ও অনুমোদনের হালনাগাদ তথ্য বোর্ডের ওয়েবসাইট (bkkb.gov.bd) এবং বিভাগীয় কার্যালয়ের নোটিশ বোর্ডের মাধ্যমে জানানো হয়। এছাড়াও, বোর্ড বিভিন্ন সময়ে প্রতারক চক্রের বিষয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সতর্ক করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে থাকে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জীবনে আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তা বিধানে বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।
প্রায় সকল সেবাই অনলাইন ভিত্তিক করা হচ্ছে/ যদিও হার্ড কপি বর্তমানে প্রেরণ করা হচ্ছে তবে সেটিও কিছুদিন পর স্থগিত করে সম্পূর্ণ অনলাইন করা হবে
বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড (বিকেকেবি) সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিভিন্ন কল্যাণমূলক সেবা প্রদান করে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে চিকিৎসা অনুদান, শিক্ষাবৃত্তি, কল্যাণ ভাতা, যৌথবীমা, দাফন অনুদান, স্টাফ বাস সেবা, কারিগরি প্রশিক্ষণ এবং কমিউনিটি সেন্টার ব্যবস্থাপনা করে থাকে।Caption: bkkb
বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড তার সদস্যদের জন্য বিভিন্নমুখী কল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সেবা হলো
- মাসিক কল্যাণ ভাতা: শারীরিক বা মানসিক অসুস্থতার কারণে চাকরি হতে অপসারিত বা অবসর গ্রহণকারী কর্মচারীদের জন্য মাসিক ২,০০০ টাকা হারে সর্বোচ্চ ১৫ বছর পর্যন্ত এই ভাতা প্রদান করা হয়। কর্মরত বা পি.আর.এল অবস্থায় মৃত কর্মচারীর পরিবারও এই সুবিধা পায়।
- যৌথবীমা অনুদান: চাকরিরত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী কর্মচারীর পরিবারকে সর্বোচ্চ ২,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত এককালীন যৌথবীমা অনুদান দেওয়া হয়।
- দাফন/অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুদান: কর্মরত, অবসরপ্রাপ্ত বা মৃত কর্মচারীর নিজের বা তার পরিবারের নির্ভরশীল সদস্যের মৃত্যুতে দাফন বা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
- সাধারণ চিকিৎসা অনুদান: কর্মচারীদের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
- শিক্ষাবৃত্তি/সহায়তা: কর্মরত (১১-২০ গ্রেড) এবং মৃত, অক্ষম ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের সন্তানদের পড়াশোনার জন্য শিক্ষাবৃত্তি ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
- ক্লাব/কমিউনিটি সেন্টারের জন্য অনুদান: বিভিন্ন ক্লাব ও কমিউনিটি সেন্টারের উন্নয়নেও বোর্ড অনুদান দিয়ে থাকে।
বিকেকেবি হেল্প লাইন নম্বর কোথায় পাবো?
বোর্ডের প্রধান কর্মকর্তারা চেয়ারম্যান: ড. মো: মোখলেস উর রহমান, সিনিয়র সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। মহাপরিচালক (সচিব): কাজী এনামুল হাসান এনডিসি, ২১তম মহাপরিচালক হিসেবে ৫ জুলাই ২০২৩ তারিখে যোগদান করেন। যোগাযোগ হটলাইন (কল্যাণ লাইন): ১৬১০৯ হেল্প লাইন সার্ভিস নম্বর: +৮৮০৯৬৩৯৬৬৬৩৩৩