সরকারি গৃহ নির্মাণ লোন পাওয়ার জন্য ফ্ল্যাট বা গৃহ নির্মানের জন্য দেওয়া হয়-এটি সাধারণত ২০ লক্ষ হতে ৭৫ লক্ষ পর্যন্ত হতে পারে–House Building Loan Orders

একক ঋণ নেয়া যায় কি? হ্যাঁ। গৃহ নির্মাণ ঋণ অর্থ বাড়ি (আবাসিক) নির্মাণের জন্য একক ঋণ, জমিসহ তৈরি বাড়ি ক্রয়ের জন্য একক ঋণ, জমি ক্রয়সহ বাড়ি (আবাসিক) নির্মাণের জন্য গ্রুপভিত্তিক ঋণ, বাড়ি (আবাসিক) নির্মাণের জন্য গ্রুপভিত্তিক ঋণ এবং ফ্ল্যাট ক্রয়ের জন্য ঋণকে বুঝাবে। সরকারি কর্মচারী অর্থ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আওতাধীন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/পরিদপ্তর/কার্যালয়সমূহে শুধুমাত্র স্থায়ী পদের বিপরীতে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারী (সামরিক/বেসামরিক)। রাষ্ট্রায়ত্ত ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি, পৃথক বা বিশেষ আইন দ্বারা সৃষ্ট প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত কর্মচারীগণ এ নীতিমালার আওতাভুক্ত হবেন না।

সরকার বলতে কি এখানে অর্থ মন্ত্রণালয়কে বুঝানো হয়েছে? হ্যাঁ। বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসে স্থায়ীভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত সদস্যগণ সরকারি কর্মচারী হিসাবে গণ্য হবেন এবং এ নীতিমালার আওতাভুক্ত হবেন। ঋণগ্রহীতা অর্থ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আওতাধীন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/পরিদপ্তর/কার্যালয়সমূহে কর্মরত সরকারি কর্মচারী যারা এ নীতিমালার আওতায় গৃহ নির্মাণ ঋণ প্রাপ্তির যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে। সরকার বলতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়কে বুঝাবে।

চাকরি স্থায়ী না হলে এ ঋণ নেয়া যাবে না? না। এ নীতিমালার ২ (খ) এবং (খখ) অনুসারে ঋণ আবেদনকারীর চাকুরি স্থায়ী হতে হবে। গৃহ নির্মাণ ঋণের জন্য আবেদনের সর্বশেষ বয়সসীমা হবে ৫৮ (আটান্ন) বছর এবং সরকার প্রদত্ত সুদ ভর্তুকি অবসরোত্তর ছুটি ভোগের সর্বশেষ দিন পর্যন্ত প্রাপ্য হবেন। কোন সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু এবং দুর্নীতি মামলার ক্ষেত্রে চার্জশীট দাখিল হলে মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এ নীতিমালার আওতায় ঋণ গ্রহণের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না। সরকারি চাকুরীতে চুক্তিভিত্তিক, খন্ডকালীন ও অস্থায়ী ভিত্তিতে নিযুক্ত কোন কর্মচারী এ নীতিমালার আওতায় ঋণ পাওয়ার যোগ্য হবেন না।

সরকারি কর্মচারীদের জন্য গৃহ নির্মাণ ঋণ নীতিমালা ২০১৮ /পরবর্তীতে স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের জন্য গৃহ নির্মাণ ঋণ নীতিমালা ২০২১ জারি করা হয়

ঋণ প্রাপ্তির কোর শর্ত কি? এ নীতিমালার আওতায় একজন সরকারি কর্মচারী দেশের যেকোন এলাকায় গৃহ নির্মাণ ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন। গৃহ নির্মাণ ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে ভবনের নকশা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে। ঋণ প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে প্রস্তাবিত ভূমি বা ফ্ল্যাট সম্পূর্ণ দায়মুক্ত হতে হবে। ঋণ প্রদানকারী ব্যাংক বা বাস্তবায়নকারী সংস্থা কর্তৃক নির্ধারিত ব্যাংকে আবেদনকারীর একটি ব্যাংক হিসাব থাকতে হবে। উক্ত হিসাবের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতার বেতন/ভাতা/পেনশন এবং গৃহ নির্মাণ বা ফ্ল্যাট ক্রয় ঋণ বিতরণ ও আদায় সংক্রান্ত সমুদয় কার্যক্রম পরিচালিত হবে। ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে কেবলমাত্র সম্পূর্ণ তৈরি (Ready) ফ্ল্যাটের জন্য ঋণ প্রদান করা হবে। তবে, সরকারি সংস্থা কর্তৃক নির্মাণকৃত ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে ‘সম্পূর্ণ তৈরি ফ্ল্যাট’ এর শর্ত শিথিলযোগ্য। গৃহ নির্মাণ ঋণ নীতিমালা ২০১৮ ডাউনলোড

House Building Loan Orders । সর্বশেষ গৃহ নির্মাণ ঋণ নীতিমালা ২০২১ দেখুন

Caption: Proof of loan gran See here

সরকারি গৃহ নির্মান ঋণ ২০২৪ । লোন মঞ্জুরী আদেশ জারি করবে অর্থমন্ত্রণালয়

  1. ঋণ আবেদনকারী ও বাস্তবায়নকারী সংস্থা – এর পারস্পরিক সুবিধা বিবেচনায় নিয়ে বাস্তবায়নকারী সংস্থার যেকোন শাখা অফিস হতে ঋণ মঞ্জুর ও বিতরণের বিষয়টি প্রক্রিয়াকরণ করা যাবে।
  2. এক্ষেত্রে, বাস্তবায়নকারী সংস্থাসমূহ তাদের নিজস্ব গৃহ নির্মাণ ঋণ প্রদান সংক্রান্ত যথাযথ পদ্ধতি (Due diligence) অনুসরণ করে সরকারি কর্মচারীদের গৃহ নির্মাণ ঋণ প্রক্রিয়াকরণ করবে। তবে, সরকারি সংস্থা/কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্মিত ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে বরাদ্দ পত্রের উপর ভিত্তি করে ত্রি-পক্ষীয় দলিলের মাধ্যমে ঋণ প্রক্রিয়াকরণ করা যাবে।
  3. ঋণ প্রদানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে বাস্তবায়নকারী সংস্থা সাময়িক অনুমোদন ও ঋণ পরিশোধের সিডিউল (Negotiated repayment schedule) প্রস্তুত করবে।
  4. ঋণ আবেদনকারী উক্ত সাময়িক অনুমোদন ও ঋণ পরিশোধের সিডিউলসহ (Negotiated repayment schedule) যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে মঞ্জুরীপত্র জারি করার জন্য অর্থ বিভাগে আবেদন প্রেরণ করবে। অর্থ বিভাগ উক্ত আবেদনের ভিত্তিতে ঋণ পরিশোধের সিডিউল (Negotiated repayment schedule) প্রতিস্বাক্ষরপূর্বক সরকারি মঞ্জুরীর আদেশ জারি করবে। অর্থ বিভাগ এরূপ প্রক্রিয়া ই-নথিতে সম্পন্নপূর্বক ই- সাইনের মাধ্যমে মঞ্জুরী আদেশ দ্রুততার সাথে জারি করবে।

গৃহ নির্মাণ ঋণ কোথা হতে নেয়া যাবে?

সরকারি কর্মচারীদের জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহ নির্মাণ ঋণ প্রদান করার ক্ষেত্রে রাষ্ট্র মালিকানাধীন তফসিলী ব্যাংকসমূহ এবং বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে কার্যক্রমটি পরিচালনা করবে। সরকার অন্য যেকোন বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে নিয়োগ করতে পারবে। বাস্তবায়নকারী সংস্থাসমূহ তাদের নিজস্ব তহবিল হতে সরকারি কর্মচারীদের জন্য গৃহ নির্মাণ ঋণ প্রদান কার্যক্রম পরিচালনা করবে। সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হতে বেতন ভাতাদি গ্রহন করতে হবে। ঋণ গ্রহণে ইচ্ছুক আবেদনকারীর আবেদনের প্রেক্ষিতে বাস্তবায়নকারী সংস্থা এ নীতিমালার অনুচ্ছেদ-৩ এ বর্ণিত ঋণ প্রাপ্তির যোগ্যতা, অনুচ্ছেদ-৪ এ বর্ণিত শর্তাবলী এবং উক্ত সংস্থার নিজস্ব নীতিমালার সাথে সামঞ্জস্য রেখে সরকার নির্ধারিত সিলিং (সংযোজনী-ক/সংযোজনী-খ) অনুসরণে ঋণ অনুমোদন করবে এবং ঋণ পরিশোধের চূড়ান্তকৃত সিডিউল (Negotiated repayment schedule) প্রস্তুত করবে।

সর্বশেষ গৃহ নির্মাণ ঋণ নীতিমালা ২০২১ ডাউনলোড

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *