মৃত ব্যাক্তির নামে নিবন্ধন ও ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করা যাবে না। নিবন্ধন এবং ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের জন্য মৃত ব্যাক্তির ওয়ারিশদের নামজারি করে নিতে হবে-ভূমি সেবা হটলাইন ১৬১২২

জমি খাজনা কিভাবে দেয়?– যে কোনে ব্রাউজার হতে https://ldtax.gov.bd যেতে হবে। তারপরে নাগরিক কর্ণারে যেতে হবে। সেখান হতে নাগরিক নিবন্ধন থেকে মোবাইল নম্বর এবং NID যাচায় করে পরবর্তী পদক্ষেপে ক্লিক করতে হবে। নাগরিক নিবন্ধনে ব্যবহৃত মোবাইলের OTP যাচাই করে একটি ৬ ডিজিটের পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে।

তারপরে প্রোফাইলে প্রবেশ করে খতিয়ান সংযুক্ত হতে হোল্ডিং এর তথ্য অপলোড করতে হবে। হোল্ডিং এর তথ্য অপলোড হয়ে গেলে উইনিয়ন ভূমি অফিস থেকে অপলোড কৃত হোল্ডিংটি সমন্বয় করে নিতে হবে। হোল্ডিং সমন্বয় হয়ে গেলে, হোল্ডিং থেকে বিস্তারিততে যেতে হবে সেখান থেকে অনলাইন পেমেন্ট অপশন থেকে খাজনা পরিশোধ করতে হবে। খাজনা পরিশোধ হয়ে গেলে দাখিলা অপশন থেকে দাখিলা পাওয়া যাবে সেখান থেকে চাইলে প্রিন্ট ও ডাউনলোড করে নিতে পারবেন ।

নাগরিক প্রোফাইলে সম্পাদন অপশনে এন.আই.ডি আপডেট বাটনে ক্লিক তথ্য আপডেট করে নিতে হবে। খতিয়ানের তথ্যে হোল্ডিং নম্বর আবশ্যক না, তবে সঠিক হোল্ডিং নম্বর দিতে পারলে ভালো। সরাসরি জাতীয় পরিচয় পত্র ব্যবহার করে পেমেন্ট করলে সাথে সাথে দাখিলা পাওয়া যাবে না, সাময়িক রসিদ পাওয়া যাবে। সাময়িক রসিদ সাথে নিয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে দাখিলা গ্রহন করতে হবে।

হোল্ডিং তথ্য ভুল, জমির তথ্য ভুল, দাবি সংক্রান্ত যাবতীয় ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যোগাযোগ করতে হবে অথবা আপত্তি অপশনে আপত্তি দাখিল করা যাবে।

জ্বি অনলাইন আদায়ের ক্ষেত্রে সংস্থার আংশিক ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা যাবে। অগ্রীম ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা যাবে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিপত্র অনুযায়ী সর্বোচ্চ তিন(০৩) বছরের অগ্রিম ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করা যাবে । তবে শর্ত হলো যে, বকেয়া ও হাল দাবী অবশ্যই পরিশোধিত হতে হবে।

Caption: ldtax.gov.bd/citizen/register

প্রবাসী নাগরিক ভূমি উন্নয়ন কর সিষ্টেমে নিবন্ধন করতে পারবেন। পাসপোর্ট ও জম্ম নিবন্ধনের মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন কর সিষ্টেমে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারবেন।

  1. নাগরিক নিবন্ধন সম্পন্ন হয়নি কিন্তু মোবাইল নাম্বারটি ইতিমধ্যে সিষ্টেমে বিদ্যমান দেখালে নিবন্ধন সম্পন্ন না হলে ওটিপি (OTP) যাচাই করুন অপশনে ক্লিক করে ওটিপি যাচাই করে নিবন্ধন সম্পন্ন করে নিতে হবে।
  2. পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে “আপনি কি পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন” অপশনে ক্লিক করে নিবন্ধিত মোবাইল নাম্বারে ওটিপি যাচাইয়ের মাধ্যমে নতুন পাসওয়ার্ড সেট করে নিতে হবে।
  3. হোল্ডিং এন্ট্রি করার পরেও নিবন্ধিত মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন সম্ভব। হ্যা, ভূমি মালিক নিবন্ধিত নাম্বার সংশোধন অথবা পরিবর্তনের জন্য সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসে যোগাযোগ করবে বা ১৬১২২ তে কল করবে।
  4. খতিয়ান এন্ট্রির সময় সংযুক্তি দেওয়া বাধ্যতামূলক না, তবে সংযুক্তি যদি থাকে(যেমন: খতিয়ানের বা দাখিলার কপি) তাহলে দেওয়া যেতে পারে।
  5. টোকেন হচ্ছে একটি হোল্ডিং এর ইউনিক নাম্বার, যা দিয়ে মোবাইল ব্যাংকিং (বিকাশ,নগদ,রকেট ও উপায়) এর পে বিলের মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করা যাবে।
  6. হোল্ডিং এর বিস্তারিত অপশনে ক্লিক করে “টোকেন জেনারেট” অপশন এর মাধ্যমে টোকেন জেনারেট করে নিতে হবে।
  7. মোবাইল ব্যাংকিং (বিকাশ,নগদ,রকেট ও উপায়) এর পে বিল এর মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করতে হলে টোকেন জেনারেট করে নিতে হবে।
  8. টোকেন জেনারেট করার সাথে সাথে নিবন্ধিত মোবাইল নাম্বারে এসএমএসের মাধ্যমে টোকেন নাম্বারটি পাওয়া যাবে।
  9. টোকেন জেনারেট করার ৭২ ঘন্টা বা তিন দিনের মধ্যে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করতে হবে।
  10. একই টোকেন নাম্বার দিয়ে একাধিকবার ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করা যাবে না। একটি টোকেন নাম্বার দিয়ে একবারই ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করা যাবে।
  11. ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের জন্য কোন মোবাইল এ্যাপস এর ব্যাবস্থা রয়েছে । হ্যা, গুগোল প্লে ষ্টোরে গিয়ে ভূমি উন্নয়ন কর(LD Tax) লিখে অনুসন্ধান করলে এ্যাপসটি পাওয়া যাবে।
  12. একাধিক খতিয়ানের জন্য একাধিকবার নিবন্ধন করতে হবে না। একটি নিবন্ধিত প্রোফাইলে একাধিক খতিয়ান যুক্ত করা যায়।
  13. নিবন্ধনের সময় ভুল নাম্বারে ওটিপি চলে গেলে হটলাইন নাম্বারে (১৬১২২) যোগাযোগ করতে হবে।
  14. যারা স্মার্ট ইউজার নয় তারা ভূমি উন্নয়ন কর নিবন্ধন করবে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে (ইউডিসি) গিয়ে অথবা সরাসরি হটলাইন নাম্বারে (১৬১২২) কল দিয়ে ভূমি উন্নয়ন কর নিবন্ধন করা যাবে।

সময়মত ভূমিকর না দিলে কি জরিমানা দিতে হয়?

সাধারণত বাংলা সন অনুযায়ী ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা আদায় করা হয়। কেউ যদি নির্ধারিত তারিখের মধ্যে কর প্রদান না করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা হতে পারে। ভূমি উন্নয়ন কর এক বছরের বকেয়া হলে সংশ্লিষ্ট বাংলা সনের ৩০ চৈত্রের পরই ওই কর বকেয়া বলে গণ্য হবে এবং মূল পাওনাকৃত করের সঙ্গে ৬.২৫ শতাংশ হারে সুদ যোগ হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *