বাংলাদেশে এসি বিস্ফোরণে মানুষ মারা যাওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়-এসির ব্যবহার সম্পর্কে ধারণা কম থাকার কারণে দূর্ঘটনা বেশি ঘরে – ভালো এসি চেনার উপায় দেখুন

ভালো এসি চেনার উপায় কি? – এসি নিশ্চিত করার জন্য একটি ভালো গাইডলাইন অনুসরণ করতে পারেন। প্রথমেই ধরে নিন আপনার এসি কোথায় ইনস্টল করতে চান এবং তার কার্যক্রম কী হবে। বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য বিভিন্ন এসি মডেল পাওয়া যায়, যেমন রুম এসি, স্প্লিট এসি, ক্যাসেট এসি ইত্যাদি। আপনার এসির প্রতিষ্ঠানের আকার এবং উচ্চতা বিবেচনা করুন। এসিগুলোর জন্য উপযোগী একটি সঠিক আকার এবং উচ্চতা নির্বাচন করুন যাতে প্রতিষ্ঠানটির সমস্ত অংশকে ভালোভাবে ঠান্ডা করতে পারে।

এসির ক্ষমতা এবং শক্তিসঞ্চয়ীতা মান্য বিশ্বস্ত মানের এসি নির্বাচন করুন। এসিগুলোর ইউনিটারি এবং স্পেসিফিক ফিচারগুলোর মধ্যে শক্তি ব্যয় পরিমাপ করার একটি উপায় হলো এনার্জি এফিসিয়েন্সি রেটিং (EER) বা স্টার রেটিং। আপনি উচ্চ EER বা স্টার রেটিং সম্পন্ন এসি নির্বাচন করতে পারেন যা বেশি শক্তিসঞ্চয়ীতা প্রদান করবে। সহজে ব্যবহার করা যায় এমন এসি নির্বাচন করুন যা বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন, যেমন ফ্যান স্পীড নিয়ন্ত্রণ, রিমোট নিয়ন্ত্রণ, স্বয়ংক্রিয় বন্ধনী, পরিবর্তনশীল কুলার এক্সচেঞ্জার, ইনভার্টার টেকনোলজি, ধ্বংসশীল নির্মাণ সম্পন্ন ইত্যাদি।

এসি ব্যবহারের সঠিক নিয়ম কি? এসি ব্যবহারের সঠিক নিয়ম মেনে চললে আপনি সম্পূর্ণরূপে এসিকে উপযুক্তভাবে ব্যবহার করতে পারবেন।  এসিটির তাপমাত্রা সম্পর্কে স্বাভাবিক এবং স্বাস্থ্যকর স্তর বজায় রাখুন। আপনি এসিটির তাপমাত্রা অনুযায়ী রিমোটের সাহায্যে সেট করতে পারেন। এসিটির কাজের সময় মিশ্রণ বা সারিসম্পর্কে যত্ন নিন। সর্দিতে এসিটির পিছনে থাকা গ্রিল সাফ ও মেস ফিল্টারের পরিষ্কারতা নিশ্চিত করুন। এসিটির পরিষ্কারতা নিয়মিতভাবে মনে রাখুন। এসিটির বাহিরের সাফ ও মেস ফিল্টার সঠিকভাবে পরিষ্কার করতে হবে।

ব্র্যান্ড ভাল হলে এসির দাম একটি বেশি হবে / এসি’র দাম ও ধরণ ভেদে ব্যবহার ভিন্ন হয়

কম দামে এসি কিনতে চাইলে আপনাকে মার্সেল এবং ওয়ালটন এসি কিনতে হবে। নিরাপত্তা ও স্বস্থির কথা চিন্তা করলে আপনি গ্রি অথবা জেনারেল ব্র্যান্ডের এসি কিনতে পারে।

https://generalacpriceinbangladesh.com/product-tag/japanese-technology/

Caption: Check AC Price in Bangladesh

দেশের সেরা এসি ব্র্যান্ড কোম্পানি । বাংলাদেশে কোন কোম্পানির AC কেনা উচিত?

  1. জেনারেল (ফুজিটসু জেনারেল লিমিটেড): জেনারেল জাপানি ব্র্যান্ড যা তাদের উচ্চ পারফরম্যান্স এসি সরবরাহ করে। এসিগুলোর অবস্থানবিশেষভাবে ভালো এবং শক্তি দ্বারা দুর্দান্ত হওয়া দ্বারা পরিচিত।
  2. ডাইকিন: ডাইকিন একটি পরিচিত জাপানি ব্র্যান্ড যা উন্নত বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এসি সরবরাহ করে। এসিগুলোর উন্নত বৈশিষ্ট্য, শক্তি সংযোগ এবং টেকনোলজির সাথে বিভিন্ন মডেল উপলব্ধ আছে।
  3. এলজি: একটি বিশ্ববিখ্যাত ব্র্যান্ড যা ভরসা যোগ্য এসি সরবরাহ করে। এসিগুলোর নির্ভরযোগ্য পারফরম্যান্স, শক্তি সংযোগ এবং নতুনত্বপূর্ণ প্রযুক্তি দ্বারা পরিচিত।
  4. প্যানাসোনিক: প্যানাসোনিক একটি বিশ্ববিখ্যাত ব্র্যান্ড যা এসি উৎপাদনে জানা হয়। এসিগুলো দ্রুত প্রশাসন সহজতম সরবরাহ করে, নীচের শক্তি ব্যয় রেটিং সম্পন্ন হয় এবং নানো-জি প্রযুক্তির মাধ্যমে বিমানের গুনাগুন বেছে নিতে পারে।
  5. মিতসুবিশি ইলেকট্রিক: মিতসুবিশি ইলেকট্রিক একটি বিশ্ববিখ্যাত ব্র্যান্ড যা উন্নত এসি উৎপাদনে পরিচিত। এসিগুলো নতুনত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য, চুপ চলাচল, এবং অসামান্য শীতলতা সরবরাহ করে।
  6. গ্রি: গ্রি একটি চীনা ব্র্যান্ড যা বাংলাদেশে জনপ্রিয় হয়েছে তাদের সস্তা এবং ভরসাযোগ্য এসি উপাদান ব্যবহার করার জন্য এটি খুবই জনপ্রিয়। এ কোম্পানির এসির রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কম বিধায় এটি খুবই সমাদৃত সরকারি অফিস আদালাতে বহুল ব্যবহৃত।
  7. স্যামসাং: স্যামসাং একটি পরিচিত ব্র্যান্ড যা বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স পণ্য উপাদান করে, যেমন এসি। স্যামসাং এসিগুলো ডিজিটাল ইনভার্টার টেকনোলজি, স্মার্ট সংযোগযোগ্যতা, এবং শক্তিসঞ্চয় সুবিধা সহ উন্নত বৈশিষ্ট্য সরবরাহ করে।
  8. শার্প: শার্প একটি বিশ্ববিখ্যাত ব্র্যান্ড যা উচ্চ গুণমানের এসি উত্পাদন করে। শার্প এসিগুলো শক্তিসঞ্চয়, শীতলতা, এবং এয়ার পিউরিফিকেশন বৈশিষ্ট্যের সাথে পরিচিত।
  9. ওয়ালটন: ওয়ালটন বাংলাদেশের একটি স্থানীয় ব্র্যান্ড যা অর্থপ্রদানে কিছু সাধারণ এবং বুদ্ধিমান AC প্রদান করে। ওয়ালটন এসিগুলো দাম কম এবং গুণমানে মেধানোর উপর প্রতিষ্ঠিত।

এসি ব্যবহারের স্বাস্থ্য ঝুকিঁ কি?

এসি ব্যবহার করলে কিছু স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকতে পারে, তবে এসি যদি সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয় তবে ঝুঁকিগুলো কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যদি পুরোনো এসি ব্যবহার করা হয় যা সর্বশেষ পরিষ্কার করা হয়নি বা যা বিনা পর্যাপ্ত মেরামতে আছে, তবে সেই এসি থেকে ভাপের সংস্পর্শে হলে অসুস্থতা উঠতে পারে। তাই পুরোনো এসি ব্যবহার করার আগে সেই সমস্যার কারণ নির্ধারণ করে সঠিক মেরামত ও পরিষ্কার করতে হবে। এসিটির হীট যদি বেশি হয় তবে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা এসব সমস্যার কারণ হতে পারে। বাড়তি হীটে এসিটির ব্যবহার করা থেকে তাপের ঝুঁকি, জ্বর বা শরীরের অস্বস্থতা উত্পন্ন হতে পারে। তাই সঠিক তাপমাত্রা এসি ব্যবহার করুন। এসি ব্যবহারে বড় কোন স্বাস্থ্য ঝুকিঁ নেই।

এসি ব্যবহারে লেগে যেতে পারে ঠান্ডা- এসি ব্যবহারে লেগে যেতে পারে ঠান্ডা হওয়ার কারণ হতে পারে কিছু সমস্যার কারণে অথবা নিয়মবদ্ধভাবে ব্যবহার না করার ফলে।  এসির এয়ার ফিল্টারে গাড়মারান পরিস্থিতি গড়ে যাওয়ার ফলে ফিল্টার জমাতে পারে। এটি নিয়মিত পরিষ্কার করা আবশ্যক। নির্দিষ্ট সময়মতে ফিল্টার পরিষ্কার করতে হবে বা ফিল্টার পরিবর্তন করতে হবে।যদি এসি সঠিকভাবে ঠান্ডা না করে তাহলে এটি ইনসুফিশিয়েন্ট হতে পারে। এসিটি যদি এলার্জি বা গ্রিল ক্লোজ থাকে তবে সঠিকভাবে ঠান্ডা করতে পারে না। একটি টেকনিশিয়ানের মাধ্যমে এসিটির সমস্যার কারণ নির্ধারণ করতে হবে।

সেরা এসি ক্রয় গাইডলাইন ২০২৩ । এসি ক্রয়ের পূর্বে যা জানা জরুরি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *