খতিয়ান বা পর্চা ছেড়া থাকলে দাখিলা দেখে পর্চা বা খতিয়ান সরবরাহ করা যায় – খতিয়ান/পর্চা তোলার নিয়ম

খতিয়ান দাখিলা কি? –মালিককে যে রশিদ দেয়া হয় তাকে দাখিলা বলে। প্রস্তুত করে এর অনুলিপি মালিকের নিকট বিলি করা হয়। খতিয়ানের এই অনুরিপি ‘পর্চা’ নামে পরিচিত। দিয়ে চিহ্নিত করা হয় তাকে খতিয়ান বলে। তাই ভূমি কর দেওয়ার পর দাখিলা যত্ন করে সংরক্ষণ করুন।

পর্চা কিভাবে তুলবো? ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি https://eporcha.gov.bd/ এই ওয়েবসাইট এ প্রবেশ করে সংশ্লিষ্ট খতিয়ান কপি সংগ্রহ করতে পারেন। ওয়েবসাইটে গিয়ে এখন তাৎক্ষণিক খতিয়ান ডাউনলোড করা যায়। কিউআর কোড যুক্ত থাকে বলে সেটি ব্যবহার করাও যায়।

মৌজা কি? ভূমি জরিপের ভৌগলিক ইউনিটকে মৌজা রাজস্ব নির্ধারণ এবং রাজস্ব আদায়ের জন্য এক ইউনিট জমির ভৌগোলিক আভিব্যক্তি হলো মৌজা। একটি মৌজা আনুমানিক ভাবে একটি গ্রামের সমান বা এর চেয়ে কিছুটা ছোট-বড় হয়।ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভের(CS) সময়ে এক একটি মৌজা এলাকাকে পৃথকভাবে পরিচিতি নম্বর নম্বর দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।বাংলাদেশে মোট মৌজার সংখ্যা হচ্ছে ৬৯,৯৯০ টি।

দাগ নম্বর কি? একটি মৌজার বিভিন্ন মালিকের বা একই মালিকের বিভিন্ন শ্রেণিভূক্ত জমিকে নকশায় যে পৃথক পরিচিতি নম্বর দ্বারা চিহ্নিত করা হয় তাকে দাগ বলে। মৌজা মাপের উত্তর-পশ্চিম কোন থেকে দাগ নম্বর প্রদান শুরু হয় এব দক্ষিন-পূর্ব কোনে এসে শেষ হয়।

দাখিলা বলতে কি বুঝায়? – ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের পর তহসিল অফিস হতে ভূমি মালিককে যে রশিদ দেয়া হয় তাকে দাখিলা বলে। জরিপের খানাপুরি স্তর পযন্ত কাজ শেষ করে খসড়া খতিয়ান প্রস্তুত করে এর অনুলিপি মালিকের নিকট বিলি করা হয়। খতিয়ানের এই অনুরিপি ‘পর্চা’ নামে পরিচিত।

ভূমি মালিককে যে রশিদ দেয়া হয় সেটিই দাখিলা / জমির দাখিলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ

মিসকেস কখন করবেন? দাগের ভিতরে যতগুলো নামজারী জোত সৃষ্ট হয়, সে সমস্ত নামজারী জোত বাতিল চেয়ে আপনার অংশেরটুকু নামজারী চাওয়ার জন্য পুনরায় মুল জোতে ফেরত আনার জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে মিস কেইস দায়ের করতে হবে।

খতিয়ান/পর্চা তোলার নিয়ম । পর্চা যদি ছেড়া অথবা ডেমেজ থাকে তাহলে করণীয় কি?

Caption: Khotian

ছেড়া বা ফাটা পর্চা তোলার নিয়ম । দাখিলার তথ্য দেখে আপনি অনলাইনে খতিয়ান/পর্চা নিতে পারবেন।

  1. খতিয়ান/পর্চা ছেড়া হলেও তাতে যদি খতিয়ান/পর্চা নম্বর , মৌজার নাম বোঝা যায় তবে https://eporcha.gov.bd এই ওয়েবসাইটে ভিজিট করে খতিয়ান/পর্চা অনুসন্ধান অপশন সিলেক্ট করে সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করে আবেদন সম্পন্ন করে খতিয়ানের কপি নিতে পারবেন।
  2. যদি খতিয়ানে কিছুই বোঝা না যায, তবে দাখিলার তথ্য দেখে আপনি অনলাইনে খতিয়ান/পর্চা নিতে পারবেন।
  3. অন্যথা হলে স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যোগাযোগ করুন।
  4. বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভূমি সেবা হেল্পলাইন ১৬১২২ তে কল করুন।

খতিয়ান এর স্যাটিসফাইট কপি উত্তোলন করতে কত টাকা লাগে?

আপনি অনলাইনে আবেদন করে খতিয়ান পেতে পারেন। অনলাইনে খতিয়ান আবেদনের জন্য eporcha.gov.bd এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। এরপর নাগরিক কর্নার থেকে খতিয়ান আবেদন অপশনটি নির্বাচন করে খতিয়ান অনলাইন আবেদন ফরম এ গিয়ে ফরমের যাবতীয় তথ্যাদি দিয়ে তথ্যানুসন্ধানের মাধ্যমে খতিয়ানের আবেদন সম্পন্ন করুন। পর্চার সার্টিফাইড কপি ডাকযোগে নিলে ৯০ টাকা, সার্টিফাইড কপি অফিস কাউন্টার থেকে নিলে ৫০ টাকা, অনলাইন কপি ডাকযোগে নিলে ৪০ টাকা এবং অনলাইন কপি নিজে ডাউনলোড করে নিলে কোন চার্জ প্রয়োজন হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *