সূচীপত্র

এস এস সি পাস হতে অনার্স-স্নাতক পাস পর্যন্ত অধ্যায়নরত সংখ্যালঘূ সম্প্রদায়, তফসিলী (হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান-সশস্ত্র বাহিনী-দৃষ্টি প্রতিবন্ধী-প্রতিবন্ধী (দৃষ্টি ও অটিস্টিক ব্যতীত)-অটিস্টিক-উপজতীয় (ক্ষুদ্র ণৃ-গোষ্ঠী) শিক্ষার্থীদের ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জন্য উপবৃত্তির কোটা বন্টনের অফিস আদেশ– এস.এস.সি হতে স্নাতক উপবৃত্তি ২০২৩

উপবৃত্তি প্রাপ্তির যোগ্যতা ২০২৩ – রাজস্ব খাতভূক্ত বৃত্তির সংখ্যা/কোটা ও টাকার পরিমাণ পুনঃনির্ধারণ সংক্রান্ত আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এবং দেশের ০৯টি আঞ্চলিক অফিস হতে প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ১২ (বার) মাসের জন্য এস এস সি হতে অনার্স/স্নাতক পাস পর্যন্ত নিয়মিত অধ্যয়নরত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, তফসিলী (হিন্দু)/বৌদ্ধ/খ্রীস্টান/সশস্ত্র বাহিনী/দৃষ্টি প্রতিবন্ধী/প্রতিবন্ধী (দৃষ্টি ও অটিস্টিক ব্যতীত)/অটিস্টিক/উপজাতীয় (ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী) শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তিসমূহ শর্ত মোতাবেক অঞ্চল ভিত্তিক কোটা বণ্টন করা হয়েছে।

সংখ্যালঘুদের মাসিক উপবৃত্তির হার কত? সংখ্যালঘু সম্প্রদায় তফসিলী (হিন্দু), সশস্ত্র বাহিনী, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান, উপজাতীয় (ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী) উপবৃত্তির মাসিক হার = ২০০/- (দুইশত) টাকা প্রাপ্ত হইবে এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, প্রতিবন্ধী (দৃষ্টি ও অটিস্টিক ব্যতীত) এবং অটিস্টিক উপবৃত্তির মাসিক হার = ৭৫০/-(সাতশত পঞ্চাশ) টাকা প্রাপ্ত হইবে।

তফসিলী(হিন্দু), সশস্ত্র বাহিনী, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান, উপজাতীয় (ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী) উপবৃত্তির মাসিক হার = ২৭৫/- (দুইশত পঁচাত্তর) টাকা। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, প্রতিবন্ধী (দৃষ্টি ও অটিস্টিক ব্যতীত) এবং অটিস্টিক উপবৃত্তির মাসিক হার = ১১২৫/-(এক হাজার একশত পঁচিশ) টাকা। নির্ধারিত কোটা অনুযায়ী অনার্স/স্নাতক পাস, স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে নিয়মিত অধ্যয়নরত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থী অনুপাতে পাইবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০১৯-২০২০ অর্থ বছর হতে রাজস্ব খাতভুক্ত সকল ধরনের বৃত্তির অর্থ G2P পদ্ধতিতে EFT-এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ব্যাংক হিসাবে (Bank Account) প্রেরণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কিন্তু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রেরিত তথ্যে ব্যাংক হিসাব নম্বর, ব্যাংক ও শাখার নাম, হিসাবধারীর নাম (বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর নামে) সহ বিভিন্ন ধরনের ভুল রয়েছে। এছাড়া কিছু শিক্ষার্থীর ব্যাংক হিসাব নম্বর Inactive / Freeze থাকায় EFT Bounced Back হয়েছে। ফলশ্রুতিতে, সকল শিক্ষার্থীর বৃত্তির টাকা তাদের ব্যাংক হিসাবে জমা হয়নি। ইতোপূর্বে একাধিকবার বিজ্ঞপ্তি দেয়া সত্ত্বেও Bounced Back হওয়া সকল শিক্ষার্থীর তথ্য প্রতিষ্ঠান হতে সংশোধন করা হয়নি।

নির্ধারিত কোটা অনুযায়ী এস এস সি পাস, উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে নিয়মিত অধ্যয়নরত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থী অনুপাতে অঞ্চল ভিত্তিক উপবৃত্তির বণ্টন বিবরণী

শিক্ষার্থীদের তথ্য MIS Software-এ যথাযথভাবে এন্ট্রি হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য দুই জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদান করতে হবে।  তথ্য এন্ট্রির ক্ষেত্রে ভুল বা অনিয়মের কারণে শিক্ষার্থীর অর্থ প্রাপ্তিতে জটিলতা সৃষ্টি হলে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ দায়ী থাকবেন। অঞ্চলের USER ID এবং Password ব্যতীত শিক্ষার্থীর প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোন আইডি থেকে MIS Software-এ শিক্ষার্থীর তথ্য এন্ট্রি দিলে উপবৃত্তির টাকা পাবে না। নির্ধারিত কোটার অতিরিক্ত কোন শিক্ষার্থীর তথ্য এন্ট্রি করা যাবে না।  তথ্য এন্ট্রি দেয়ার সময়সীমা : ৩০/০৩/২০২৩ খ্রি. পর্যন্ত।

Caption: Full order of Stipend

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপবৃত্তি । উপবৃত্তি প্রাপ্তির শর্তাবলী  ২০২৩

  1. উপবৃত্তিসমূহের মেয়াদ ১২ মাস বা ০১ বছর যা ২০২২ শিক্ষাবর্ষে নিয়মিত অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য হবে;
  2. নীতিমালার শর্তাবলী পালন সাপেক্ষে গঠিত কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত ও বাছাইকৃত উপবৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তালিকা নির্ধারণ করতে হবে;
  3. উপবৃত্তির নীতিমালা অনুসরণপূর্বক উল্লিখিত বণ্টন মোতাবেক আগামী ২২/০৩/২০২৩ তারিখের মধ্যে উপবৃত্তির গেজেট প্রকাশ এবং প্রকাশিত গেজেটের সফ্‌ট কপি ই- মেইলে ([email protected]) এবং হার্ড কপি মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বাংলাদেশ, ঢাকা ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ করতে হবে।

MIS সফটওয়ারে তথ্য এন্ট্রির ক্ষেত্রে নির্দেশাবলী কি?

শিক্ষার্থীগণ নিয়মিত ও ধারাবাহিকভাবে অধ্যয়নরত রয়েছে নিশ্চিত হয়ে তথ্য এন্ট্রি করা। পাঠ বিরতী রয়েছে এরুপ শিক্ষার্থীর তথ্য এন্ট্রি করা যাবে না। বাংলাদেশের অনলাইন সুবিধাসম্পন্ন তফসীলভুক্ত যেকোন ব্যাংকে শিক্ষার্থীর নিজ নামে / ১৮ বছরের নিচে শিক্ষার্থীদের পিতা/মাতার সাথে যৌথ নামে ব্যাংক হিসাব/স্কুল ব্যাংক হিসাব খুলতে হবে। যৌথ নামে ব্যাংক হিসাব খোলা হলে MIS-এ তথ্য এন্ট্রির ক্ষেত্রে যৌথ নামই উল্লেখ করতে হবে। শিক্ষার্থীর একক/যৌথ নামের হিসাব নম্বর ব্যতীত পিতা/মাতা/অন্য কোন ব্যাংক হিসাব নম্বর প্রদান করা যাবে না।

শিক্ষার্থীর নাম ও ব্যাংক হিসাবের নাম অভিন্ন হতে হবে। অনলাইন ব্যাংক হিসাব নম্বর অবশ্যই ১৩-১৭ ডিজিটের মধ্যে হতে হবে এবং সঠিক ও নির্ভুলভাবে পূরণ করতে হবে; বিকাশ, শিউর ক্যাশ নগদসহ এ ধরণের কোন এজেন্ট ব্যাংকের হিসাব নম্বর প্রদান করা যাবে না।  শিক্ষার্থীর সর্বশেষ পরীক্ষার নাম ও সাল, রেজিষ্ট্রেশন নম্বর, প্রাপ্ত জিপিএ সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে; শিক্ষার্থীর ব্যাংক হিসাব নম্বর, ব্যাংক ও শাখার নাম, রাউটিং নম্বর নির্ভুলভাবে এন্ট্রি করতে হবে; শিক্ষার্থীর প্রদত্ত ব্যাংক হিসাবটি অবশ্যই সচল (Active) থাকতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *