আজকের খবর ২০২৫

নতুন শপথ বাক্য ২০২৫ । পূর্বের শপথ বাক্যটি নতুন করে কার্যকর করা হয়েছে?

বাংলাদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন শপথ বাক্য পাঠ করার ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়- পুরাতন নয় বরং নতুন শপথ পাঠ করতে হবে যা ২০২৫ সালের মে মাসে কার্যকর হয়েছে– শপথ বাক্য ২০২৫ (নতুন)

পূর্বের শপথ বাক্য কোনটি? “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বিশ্বের বুকে বাঙালি জাতি প্রতিষ্ঠা করেছে তার স্বতন্ত্র জাতিসত্তা। আমি দৃপ্তকণ্ঠে শপথ করছি যে, শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। দেশকে ভালোবাসব, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ে তুলব। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাকে শক্তি দিন।”

নতুন শপথ বাক্য কি? “আমি শপথ করিতেছি যে, মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করিব। দেশের প্রতি অনুগত থাকিব। দেশের একতা ও সংহতি বজায় রাখিবার জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকিব। হে আল্লাহ! আমাকে শক্তি দিন, আমি যেন বা্ংলাদেশের সেবা করিতে পারি এবং বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী ও আদর্শ রাষ্ট্র হিসাবে গড়িয়া তুলিতে পারি । আমিন । ” গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এটি বাতিল করে নতুন শপথ বাক্য কার্যকর করেছে।

স্কুলের পূর্বের শপথ বাক্য বিশ্লেষণ দেখুন- স্কুলের শপথ বাক্য আমি দৃঢ়কণ্ঠে শপথ করছি যে, শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। দেশকে ভালোবাসব, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ে তুলব। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাকে শক্তি দিন। এই শপথ বাক্যটি ২০২২ সালের ১৩ জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশের সকল স্কুল ও কলেজে প্রতিদিনের সমাবেশে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর শিক্ষার্থীদের পাঠ করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, কিছু স্কুলের নিজস্ব শপথ বাক্যও রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ: আমি (স্কুলের নাম) স্কুলের একজন শিক্ষার্থী। আমি আমার শিক্ষক ও অভিভাবকদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হব। আমি সৎ, ন্যায়পরায়ণ ও কর্তব্যপরায়ণ হব। আমি আমার জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে দেশ ও জাতির সেবা করব। শপথ বাক্য শিক্ষার্থীদের মনে দেশপ্রেম, জ্ঞানপিপাসা ও কর্তব্যবোধ জাগিয়ে তোলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আমি শপথ করিতেছি যে । নতুন শপথ বাক্য । শপথ বাক্য ২০২৫ । আমি শপথ করিতেছি যে মানুষের সেবায়

ইংলিশ মিডিয়ামসহ সব সরকারি-বেসরকারি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিদিনের সমাবেশে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর এই শপথ বাক্য পাঠ করতে হবে।  

Caption: Old info Source

শপথ বাক্যের বৈশিষ্ট্য ২০২৫ । শপথ বাক্য পাঠ করার সময় যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে

  • ১. আন্তরিকতা: শপথ বাক্য উচ্চারণ করার সময় বক্তার মনে আন্তরিকতা থাকা আবশ্যক।
  • ২. স্পষ্টতা: শপথ বাক্য স্পষ্ট ও সংক্ষিপ্ত হতে হবে।
  • ৩. নির্দিষ্টতা: শপথ বাক্যে কীসের জন্য শপথ করা হচ্ছে তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।
  • ৪. সত্যতা: শপথ বাক্যে বলা কথাগুলো অবশ্যই সত্য হতে হবে।
  • ৫. পালনযোগ্যতা: শপথ বাক্যে যে বিষয়গুলোর জন্য শপথ করা হচ্ছে সেগুলো পালন করা সম্ভব হতে হবে।
  • ৬. গুরুত্ব: শপথ বাক্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের জন্যই বলা হয়।
  • ৭. আনুষ্ঠানিকতা: শপথ বাক্য সাধারণত আনুষ্ঠানিকভাবে উচ্চারণ করা হয়।
  • ৮. প্রতিশ্রুতি: শপথ বাক্যের মাধ্যমে কোন বিষয় পালনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
  • ৯. দৃঢ়তা: শপথ বাক্য উচ্চারণ করার সময় বক্তার মনে দৃঢ়তা থাকা আবশ্যক।
  • ১০. বিশ্বাসযোগ্যতা: শপথ বাক্য বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে।

শপথ বাক্য কেন পাঠ করানো হয়?

শপথ বাক্য পাঠ করানোর বেশ কিছু কারণ রয়েছে যেমন- শপথ বাক্যের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মনে দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবোধ জাগানো হয়। শপথ বাক্যের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মনে কর্তব্যবোধ জাগানো হয়। শপথ বাক্যের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা ও মূল্যবোধ শেখানো হয়। শপথ বাক্যের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি বৃদ্ধি পায়। শপথ বাক্য উচ্চারণ করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মনে আন্তরিকতা ও দৃঢ়তা বৃদ্ধি পায়। শপথ বাক্যের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নিয়মানুবর্তিতা শেখানো হয়। দায়িত্ববোধ জাগানো: শপথ বাক্যের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মনে দায়িত্ববোধ জাগানো হয়। শপথ বাক্য উচ্চারণ করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মনে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়। শপথ বাক্য রচনা করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায়। শপথ বাক্য পাঠ করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ বৃদ্ধি পায়।শপথ বাক্য শিক্ষার্থীদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সকল স্কুল ও কলেজে প্রতিদিনের সমাবেশে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর শিক্ষার্থীদের শপথ বাক্য পাঠ করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পূর্বের শপথ বাক্যটি কি আবার কার্যকর হলো?

না। “আমি শপথ করিতেছি যে, মানুষের সেবায় সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখিব। দেশের প্রতি অনুগত থাকিব। দেশের একতা ও সংহতি বজায় রাখিবার জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকিব। অন্যায় ও দুর্নীতি করিব না এবং অন্যায় ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিব না। হে মহান আল্লাহ / মহান সৃষ্টিকর্তা আমাকে শক্তি দিন, আমি যেন বাংলাদেশের সেবা করিতে পারি এবং বাংলাদেশকে একটি আদর্শ, বৈষম্যহীন ও শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসাবে গড়িয়া তুলিতে পারি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *