আজকের খবর ২০২৫

ভোটার তথ্য হালনাগাদ ২০২৫ । শিক্ষকগণ নাকি বেকার ছেলে-মেয়েরা তথ্য সংগ্রহ করবে?

বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে সরকার যাদের তথ্য হালনাগাদে নিয়োজিত করবে তারা তথ্য সংগ্রহ করতে বাধ্য –ভোটার তথ্য হালনাগাদ ২০২৫

বাড়ি বাড়ি তথ্য সংগ্রহ কি শুরু হয়েছে? হ্যাঁ। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১১৯ (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ভোটার তালিকা প্রণয়নের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের উপর ন্যস্ত। তদনুযায়ী সঠিক ও নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়নে নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি, ২০২৫ মোতাবেক বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারযোগ্য ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ ও সুপারভাইজার কর্তৃক তা যাচাই ২০ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ শুরু হয়ে ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত এবং নিবন্ধন কার্যক্রম ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ হতে ১১ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত চলমান থাকবে।

সরকারি সংস্থা তথ্য সংগ্রহ করবে? হ্যাঁ। ভোটার তালিকা বিধিমালা, ২০১২ এর বিধি-৪ (৪) অনুসারে উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসার ও রেজিস্ট্রেশন অফিসারগণ কর্তৃক বিভিন্ন সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ বা প্রতিষ্ঠান, সরকারি বা সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত স্কুল বা কলেজ বা সমপর্যায়ের মাদ্রাসা, সরকারি বা সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা মাদ্রাসার শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারিদের তথ্যসংগ্রহকারী ও সুপারভাইজার নিয়োগ করা হয়েছে।

ভোটার তথ্য সংগ্রহে বাধা দিলে চাকরি নাই? হ্যাঁ। একজন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কর্তৃক 21/01/2025 তারিখে এক স্কুল পরিদর্শনকালে একটি অডিও বার্তা পাওয়া যায় (কপি সংযুক্ত)। উক্ত অডিও বার্তায় তিনি বলেন যে ‘কিছু শিক্ষক ভোটার তালিকা হালনাগাদ কাজে সম্ভবত চলে গেছেন, তো এই কাজটা শিক্ষকরা এইভাবে করতে পারে না। প্রথমত, শিক্ষকদেরকে দিয়ে এই কাজটি করানোর বোধ হয় বাধ্যবাধকতা নেই। কারণ শিক্ষিত বেকার যুবকরা এই কাজটি করার কথা, অতীতে এইভাবে হয়েছে। এর পরেও আমাদের অনেক শিক্ষক আছেন ইন্টারেস্টেড হয়ে ইলেকশন অফিসে বা পরিসংখ্যান অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করে নিজের নাম অন্তর্ভূক্ত করেন। এই রকমও আছেন আবার অনেক শিক্ষক করতেও চায় না বা অনেক শিক্ষক না জেনে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়। আমাদের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর/মন্ত্রণালয় এই বছর এই ব্যাপারে তেমন কিছু বলেছেন কিনা আমার জানা নেই। তবে সাধারণত বলেন তাদেরকে সহযোগিতা করার জন্য। এই সহযোগিতা মানে এই না, তারা স্কুল ছেড়ে দিয়ে ফিল্ডে গিয়ে কাজ করবে। তারা প্রচার-প্রচারণা করবে শিশুদের মাধ্যমে, কমিউনিটির মাধ্যমে, এটার নাম সহযোগিতা। যাই হোক, যাদের নাম দেয়া হয়েছে তারা প্রথমত যে কাজটি করবে সেটি হলো স্কুল আওয়ারের আগে এবং স্কুল সময়ের পরে তারা হালনাগাদ করবে। স্কুল সময়ে কখনো স্কুল ত্যাগ করতে পারবে না। এর পরেও যদি কারো এই সময়ে বাধ্যবাধকতা থাকে তাহলে অবশ্যই ছুটি নিয়ে এই কাজ করতে হবে। ছুটি ছাড়া সে স্কুল ত্যাগ করতে পারবে না। একজন লোক শিক্ষকের বেতন নিবে আবার ঐদিকে নির্বাচন কমিশন থেকে বেতন নিবে একসাথে একই সময়ে দুইটা সুবিধা পাওয়ার ট্রেজারি রুলের ভাষায় কোন বিধি-বিধান নাই এবং এটা সম্পূর্ণ বেআইনি কাজ। টিইও সাহেবরা এবং এইউইও সাহেবরা এটা কঠোরভাবে দেখেন। যদি কোন স্কুলে এরকম পাওয়া যায়। তাহলে ঐ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করায় আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো এবং প্রমাণিত হবে আপনি আমি সবাই মিলে অসৎ কাজে আমরা সহযোগিতা করছি। এমন বক্তব্য প্রদান করা যাবে না।

ভোটার তালিকা হালনাগাদ ২০২৫ / তথ্য সংগ্রহ ও প্রদানের বাধা দেওয়া যাবে না

সারাদেশে একযোগে সকল উপজেলা/থানার তথ্য সংগ্রহ না করে যখন যে উপজেলায় নিবন্ধন কার্য শুরু হবে তার পূর্বে সেসব উপজেলা/থানার তথ্যসংগ্রহ করতে হবে। এক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার/জেলা নির্বাচন অফিসারগণ স্থানীয়ভাবে উপজেলা/থানাভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ ও নিবন্ধন কার্যক্রমের সময়সূচি নির্ধারণপূর্বক অঞ্চল ভিত্তিক একত্রীকরণ করে এতদসংগে প্রেরিত ছক অনুযায়ী (পতাকা-ক) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নির্বাচন সহায়তা-২ শাখায়, জনসংযোগ শাখায় অধিশাখায় ও জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে প্রেরণ করতে হবে। বিশেষ দিবসের ছুটি ব্যতীত সাধারণ ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনে নিবন্ধন ও তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম চলমান থাকবে।

Caption: Education officer pdf

তথ্য সংগ্রহে প্রতিবন্ধকতা তৈরিকারীর শাস্তি ২০২৫ । নধিক এক বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন’।

  1. (ক) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১২৬ নং অনুচ্ছেদ বলা আছে, ‘নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য হইবে’
  2. খ) ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯ এর ১৯ ধারা বলা আছে, ‘যদি কোন ব্যক্তি ভোটার তালিকা প্রণয়ন, পুনঃপরীক্ষণ, সংশোধন বা হালনাগাদকরণ কার্যে কাহাকেও কোন প্রকার প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেন তাহা হইলে তিনি অনধিক এক বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন’।

ভোটার তালিকা আইন কি বলে?

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান এবং ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯ এর বিধান পরিপন্থি বক্তব্য পেশ করায় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি, ২০২৫-এ ভোটারযোগ্য নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ ও সুপারভাইজার কর্তৃক যাচাই কার্যক্রম ২০ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ হতে পরবর্তী ২ (দুই) সপ্তাহ পর্যন্ত অথবা শুরুর তারিখের পরবর্তী ০২(দুই) সপ্তাহ ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সম্পন্ন করা হবে। ২০০৮ সালের ০১ জানুয়ারি অথবা তার পূর্বে যাদের জন্ম তাদের ও বিগত ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে যারা বাদ পড়েছেন তাদেরকে ভোটার তালিকাভুক্তি এবং মৃত ভোটারদেরকে ভোটার তালিকা হতে কর্তনের জন্য তথ্যাদি সংগ্রহ করা হবে।

   
   
   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *