আজকের খবর ২০২৪

Govt. Step to 35 Job Entry Age 2024 । সরকারি চাকুরীতে প্রবেশের বয়সসীমা নির্ধারণের নতুন কমিটি?

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার জন্য আন্দোলন চলমান রয়েছে-সরকার এটি বাস্তবায়নে কমিটি গঠন করে দিয়েছে এবং এ কমিটি আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবে–Govt. Step to 35 Job Entry Age 2024

৩০ বছর বয়স হয়ে গেলেই কি মানুষ চাকরি করার সব যোগ্যতা হারিয়ে ফেলে? যদি তা-ই হয়, তাহলে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠে, ৩০ বছরের বেশি বয়সী যারা চাকরি করে, তারা কোন যোগ্যতায় চাকরি করে? ৩০ বছর বয়স হয়ে গেলে যদি মানুষ চাকরি করার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলে, তাহলে ৩০ বছর বয়সের আগেই, বয়স কম থাকতে থাকতে সবাই চাকরিতে প্রবেশ করে ৩০ বছর পূর্ণ হওয়া মাত্রই চাকরি থেকে অবসরে চলে যাওয়া উচিত! একজন মানুষ যদি ৩৭ বছর বয়স পর্যনত্ম কোনো নিয়োগ পরীক্ষায় টিকতে না পেরে ৩৭ বছর বয়স হবার পর কোনো নিয়োগ পরীক্ষায় টিকে যায়, তাহলে তাকে চাকরি দিতে বাধা কোথায়!

৩৭-৩৮ বছর বয়সে কি কেউ আমাদের দেশে সরকারি চাকরি করে না?! শুধু ৩৭-৩৮ বছর বয়সে নয়, ৫৯ বছর বয়সে চাকরি থেকে অবসরে গিয়েও আমাদের দেশের অনেক সরকারী উচ্চপদস’ কর্মকর্তাকে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে নতুন করে চাকরি নিতে দেখা যায়। ৫৯ বছর বয়স হয়ে গেলেও, চাকরি না করলেও চলে, এমন অসংখ্য মানুষ যে দেশে নতুন কোনো চাকরিতে প্রবেশ করতে পারে, সে দেশে সদ্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে বের হওয়া একজন উচ্চশিক্ষিত বেকারের, যে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছে ভালো একটা চাকরির স্বপ্নে, তার জন্য শুধু ৩০ বছর পূর্ণ হয়ে যাওয়ার কারণে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের পথ বন্ধ করে দেয়ার পেছনে কী যুক্তি থাকতে পারে!

যার চাকরি ৩০ এ হয়নি ৫ বছর বাড়ালেও তার হবে না? এটি একপেশে বক্তব্য এবং তারা হয়তো গভীরভাবে না ভেবেই স্রোতে গা ভাসিয়ে দিয়ে এমন কথা বলছে। সেশান জট, নানারকম অবাঞ্চিত ছুটি, হরতাল, রাজনৈতিক অসি’রতা, অনির্দিষ্ট কালের জন্য ভার্সিটি বন্ধ, যে কোনো অযুহাতে পরীক্ষা পেছানোর আন্দোলন যে দেশে নিত্যনৈমত্তিক ঘটনা, সে দেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়স সীমিত করার মানে যে মেধাবী বা উচ্চশিক্ষিত শিক্ষার্থীদেরকে চাকরি করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা, কথাটি বুঝতে কারো অসুবিধা হবার কথা নয়।

শিক্ষার্থী বা চাকরিপ্রার্থীগণ ৩৫ দাবী করলেই সরকার হতে সম্প্রতি ৩২ প্রস্তাব গ্রহণ যোগ্য হবে বলে মতামত প্রকাশ করা হয়েছে কিন্তু ৩৫ করতে আপত্তি কেন বা করা যাবে কিনা কমিটি তা খতিয়ে দেখবে

শুধু চাকরির ক্ষেত্রেই বয়স বেধে দেওয়া হয় কেন?

মালেশিয়ার সাম্প্রতিক নির্বাচনে ৯২ বছর বয়সী সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহাথির মোহাম্মদ নতুন করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল ট্রাম্প ৭০ বছর বয়সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে ৬০ বছর বয়সে বিশ্বের একটি উন্নত দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে বাধাগ্রস’ হননি। আমাদের দেশেও অনেক এমপি-মন্ত্রী আছেন, যারা ৬০-৭০ বা তার চেয়েও বেশি বয়সে এসব পদে নির্বাচিত হয়েছেন। কী অসুবিধা? কোনো অসুবিধা যদি না থাকে, তাহলে একজন শিক্ষিত তরুণ বেকার তার ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য একটি চাকরি নিতে বয়সের বাধ্যবাধকতার মুখোমুখি হবে কেন? যতদিন মানুষের কর্মশক্তি থাকে, ততদিন মানুষ কাজ করবে, এটাই হওয়া উচিত নিয়ম। কিন’ অল্প বয়সেই মানুষকে অকর্মণ্য, অযোগ্য, আনফিট গণ্য করে মানুষের জীবনকে হতাশাগ্রস’ করার কী প্রয়োজন আছে! এতে তো হাতে ধরে দেশে বেকার সংখ্যা বাড়ানো হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *